নিউজ

ভারত তিস্তা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে, বাংলাদেশে ‘রেড অ্যালার্ট’ নিজস্ব প্রতিবেদক ২০ অক্টোবর, ২০২১, ১৮:০০ আপডেট: ২০ অক্টোবর, ২০২১, ১৮:৫৮ এনটিভি অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন তিস্তা ব্যারেজের গজলডোবা অংশে প্রতিবেশী ভারত বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে লালমনিরহাট, নীলফামারির বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিচু এলাকা। কুড়িগ্রামেও তিস্তার পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। বছরের এই সময়ে হঠাৎ করে এমন পানি বৃদ্ধি বা বন্যার আশঙ্কা অস্বাভাবিক ঘটনা। অথচ, লালমনিরহাটের তিন উপজেলার অনেক গ্রাম, বিশেষ করে তিস্তার চরএলাকা এখন প্লাবিত। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, উঠতি আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে। আজ বুধবার সকালে লালমনিরহাটের এক বৃদ্ধ (৬০) বলছিলেন, ‘হঠাৎ করেই এখানে পানি বেড়েছে। খেতখামার ও রাস্তা তলিয়ে গেছে। আমরা খুব বিপদে পড়েছি। দিন দিন পানি বাড়তেছে। অনেক পানি আসছে।’ একই এলাকার এক নারী (৫০) বলছিলেন, ‘অনেক পানি এসে বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। সব নিয়ে এখন রাস্তার উপর এসে আশ্রয় নিয়েছে।’ গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে নদীর পানি বাড়তে থাকে। আজ বুধবার সকাল ৬টার সময় প্রথম বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকাল ৯টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ভারতীয় অংশে কয়েকদিন প্রবল বৃষ্টিপাতে পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠে যাওয়ায়, আজ ভারত গজলডোবা বাঁধের ৪৪টি গেট খুলে দেয়। যার বাংলাদেশে প্রভাবে তিস্তায় পানি বাড়ছে হু হু করে। এদিকে পানির তোড়ে ভেঙে গেছে ব্যারেজের ফ্ল্যাট বাইপাস। ব্যারেজ এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ বলেন, ‘সকালবেলায় আমি খবর পাই, ফ্ল্যাট বাইপাসের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তখন আমি মাইকিং করার জন্য বলে দিই। যাতে লোকজন নিরাপদে দূরে সরে যায়। এবং রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলি।’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারীর ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউ-দৌলা বিবিসিকে বলেন, তিস্তার পানি এখন ৭০ সেন্টিমিটারের বেশি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়ি, সিন্দুর্ণা ও গড্ডিমারীসহ জেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের তিস্তাতীরে নিচু এলাকা প্লাবিত। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, নীলফামারী, কুড়িগ্রামেও। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙনও। পাঠকের পছন্দ রাগী বউ কীভাবে সামলাবেন? পেঁয়াজে কাশি সারান একদিনেই আপেলের গায়ে স্টিকার থাকে কেন? ট্যাগ: তিস্তা ব্যারেজ, আবহাওয়া, প্রকৃতি সর্বাধিক পঠিত সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা, বউয়ের সম্মতিতে বিয়ে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে : পুলিশ ফের মামলা দেওয়ায় আরেক মোটরসাইকেল চালকের আগুন মোটরসাইকেল কিনতে গিয়ে ফিরলেন লাশ হয়ে জয়পুরহাটের এক ঘণ্টার পুুলিশ সুপার স্কুলছাত্রী নুসরাত Work a USA Job from Home in Oman Work Remotely in USA from Kenya| Search Ads | Sponsored Looking for Cheap Hair Transplants? Residents in Your City Could Benefit From 2021 Prices Hair Transplantation | Search Ads | Sponsored Do You Speak English? Online Jobs In The USA May Pay More Than You Think Online Jobs | Search Ads | Sponsored Countries Are Now Offering Citizenship by Investment (See Options) Citizenship Investment | Search Ads | Sponsored People from Oman are Getting Job in the USA Job in the USA | Sponsored Here’s What Happens When You Stop Eating Sugar Manuka Feed | Sponsored Used Car Prices in Salalah Might Surprise You Used Car Prices | Search Ads | Sponsored Studying Cybersecurity In Canada From India Is Better Than You Think Cybersecurity Courses | Search Ads | Sponsored What’ll Happen to You If You Start Eating 3 Eggs a Day? DepressionFixed.com | Sponsored Jennifer Grey Is Probably The Most Beautiful 61 Year Old Woman Swift Verdict | Sponsored Work From Home for a USA company Might Be More Fun Than You Think Work From Home USA | Search | Sponsored Mix These 3 Ingredients to Relieve Pain in No Time Manuka Feed | Sponsored You Won’t Believe These Simple Tips For a Flat Stomach Manuka Feed | Sponsored Do You Speak English? Work a USA Job From Home in Oman USA Work | Search Ads | Sponsored Richard Gere's Son Is Probably The Most Handsome Man To Ever Exist Healthy George | Sponsored All Eyes Are On Mike Tyson's Net Worth The Print Street | Sponsored Firefighter saves baby and is in tears when he receives a letter after 17 years Tips and Tricks | Do You Speak English? Work a USA job from home in Oman Work from Home | Search Ad | Sponsored Browse by Category About NTV NTV Programmes Advertisement Web Mail NTV FTP Satellite Downlink Europe Subscription USA Subscription Privacy Policy Terms & Conditions Our Newsletter. SIGN UP li NTV Online, BSEC BuildiKazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +88 02 9143381-5,66-7 x

Comments

Popular posts from this blog

খবর ১৬/১০/২০২১

নিউজ

"তুফানের ঘনঘটা মুহূর্ত" (৬ষ্ঠ-১০ম খন্ড) (নকীব নাসির) ( ষষ্ঠ পর্ব) কথা বলবেন অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে, লেখা লিখবেন নিরপেক্ষ রেখা থেকে। উস্কানিমূলক লেখা না লিখে সমস্যা উত্থাপন এবং সমধানের কথা বলুন। একচোখোমি চরিত্র বদলান। ধীরে ধীরে পড়ে যান। প্রথমত যে বা যারা কোরাণকে মূর্তির পায়ে রেখেছে। এই ঘৃণিত কাজের জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নিশ্চই তারা কোন ধর্মাবলম্বী নয়, না তারা মুসলিম না তারা হিন্দু। যেহেতু এখনও সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি, তাই বলবোনা এটি কোন হিন্দু লোক রেখেছে। বলবোনা একাজ মুসলিম করেছে। যে লোকেই করুক সে নিশ্চয়ই মনুষ্যত্ব বিবর্জিত বর্বর এক প্রাণী। ঐ কুচক্রী মহল কি নেবে এত গুলো লাশের দায়ভার? জানি সেটা আদৌ সম্ভব নয়। মূল আলোচনায় ফিরে যাই। প্রায় প্রতিটা মন্দিরে পাহারাদার থাকে। ৯০% মন্দিরে সি.সি ক্যামেরা দেখা যায় । প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে খুব সহজে এমন ন্যক্কারজনক ঘটননার সত্যতা বের হয়ে আসতো কিন্তু হয়েছে তার ব্যতিক্রম। একদিকে কোরাণ অবমাননা অন্যদিকে সরকারি মন্ত্রীদের উস্কানিমূলক বক্তব্য, পরিস্থিতি হয়েছে দ্বিগুণ ঘোলাটে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে ৩য় পক্ষ। আমরাতো ঘুমিয়েই আছি, আর লাগামহীন পক্ষ-বিপক্ষের বক্তব্যে দিয়ে পাণ্ডিত্য জাহির করছি। তান্ডব দেখে কেউ কেউ সরাসরি মুসলমানদের ধিক্কার জানাচ্ছি। অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছি। ঘটনার পরে মন্দির এবং মূর্তি ভাঙা নিয়ে ইসলামিক স্কলাররা নিন্দা জানিয়ে যে পরিমান বক্তব্য রেখেছে। কুরআন অবমাননার ঘটনায় কোনো পুরোহিত যদি নিন্দা জানাতে কালবিলম্ব না করতো, অন্তত ঘটনার লেজ এতটুকু বাড়তোনা। জাতী অপেক্ষায় আছে নতুন কোন নাটকের। ক্ষমতাসীন সরকার এবং বহাল থাকা প্রশাসন ঘটনার সূত্র উদঘাটন না করে দায়সারা প্রতিবেদন বেশ করে "এটি শিবিরের কাজ" তাদের বক্তব্যে জামাত - শিবির শব্দ দুটো দারুণ স্থায়ীত্বতা পেয়েছে। এই কমন ডায়ালগ কি এনে দিতে পেরেছে এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া অসংখ্য সমস্যার সমাধান? এই তোকমা লাগানো নাটকের কারণে প্রকৃত অপরাধী ঢাকা পরে যাচ্ছে। হচ্ছে অপরাধের পুনরাবৃত্তি। নিরপরাধী সঠিক বিচার না পেয়ে জুলুমের শিকার হচ্ছে। যদিও এটি শিবিরে করেছে এমন হাস্যকর উত্তর আসবে অনেকেই জানতো। ইতোপূর্বে এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটেছিলো বারংবার। শিবির এত সুখে নেই যে সাপের লেজ দিয়ে কান চুলকাবে। যতটুকু জানি এ দলটি দেশীয় এবং প্রতিবেশী পরিচালিত হিংসাত্মক রাজনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ততা থেকে এখনও উঠে আসতে পারেনি। শিবির ক্ষমতায় থাকলে এমন অভিযোগ দায়ের করলে ,হয়তো তর্কের খাতিরে মেনে নেয়া যেতো। নিজেদের অস্তিত্ব লড়াইয়ে আজ যারা কঠিন সংকটকালীন সময় পার করছে, তারা যাবে নতুন কোন চক্রান্ত মূলক সংঘাতে নিজেদের জড়িয়ে নিজ পায়ে কুঠারের আঘাত দিতে। দুঃখজনক হলেও হাস্যকর। যাইহোক, এতক্ষণ কিভাবে এই কিতাব মূর্তির পায়ে থাকে? ছবি তোলার এত সময় কিভাবে বের করলো? ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ আসার অপেক্ষা কেন করতে হলো? ধরে নিলাম বাহিরের কেউ রেখে গেলো, যে হিন্দুর চোখেই এটা পরলো সাথে সাথে এটি সরিয়ে ফেলার দরকার ছিলো। তাদের জানা উচিত "Ill news goes approach" সে ছবি তোলার অপেক্ষা করা কিংবা লোকসমাগমের সুযোগ দেয়টা ছিলো একান্তই বোকামি। যেই ছেলেটি বলেছিলো "তার কাছে সন্দেহ মনে হচ্ছিলো শেষ রাত ৪টায়, তার করণীয় ছিলো সন্দেহজনক ঘটনা মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানানো কিংবা নিজেই সাবধানতা অবলম্বন করা। এত দায়িত্বজ্ঞানহীন লোক কিভাবে আবার রাতে একা ব্যানার লাগাতে বের হয়েছিলো? আসলে যখন নিজ পোষ্য বেড়াল নিজেরই শুটকি চুরি করে, এটা জেনে বুঝে খামোখা পাশের বাড়ির কুত্তা পাহারা দেয়া নিষ্প্রয়োজন। উদাহরণটা গবেষণা করে দেখুন, হাজারো উত্তর উঠে আসবে। বর্তমান দায়িত্বশীল প্রশাসনের কিছু কিছু কর্মকর্তা নিজেরাও হয়তো এই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ - পরোক্ষভাবে জড়িত। তা না হলে এমন ঘটনার তদন্তে এত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিতোনা। শুটকি চুরি করায় বিষয়ে তারা পূর্ব থেকে ওয়াকিবহাল। এই প্রশাসনতো সেই প্রশাসন , ৫মে হেফাজতের আন্দলনে গভীর রাতে যাদের মুখ থেকে হিন্দি কথার আবির্ভাব ঘটেছিলো। (৭ম পর্ব) অনেক হিন্দু বহির্বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা বা যেকোন ভাবে সাহায্য কামনা করছে। হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে নটিফাই করে নিরাপত্তার জোর দাবি জানাচ্ছে। লেখালেখি বা বক্তব্যের মাধ্যমেও তারা সেফটি চাচ্ছে। স্ট্যাটাস কিংবা ইমোজির মাধ্যমে রাগ-ক্ষোভ, ঘৃণা হতাশা ব্যক্ত করছে। এটি দোষের কিছু নয়। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা এবং ধর্মপালনের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অবশ্যই যেকোন দাবি জানানো বা মতামত প্রকাশ করা তাদের জন্মগত অধিকার। তবে, সর্বপ্রথম সে দাবি থাকবে নিজ দেশের সরকারের কাছে। যেদেশের সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা ছিলো তাদের। তাদের অবলম্বন করেই ক্ষমতাসীন দল ভারতের দৃষ্টি গোচরে এলো। নিরাপত্তার চাদরে থেকে প্রায় ভোট কেন্দ্রে স্ব-শরীরে ভোট প্রদানের সুযোগ হয়েছে কেবল মাত্র হিন্দুদের । এমনও দেখেছি, অনেক হিন্দু টিনএজদের যারা মুখোশ পরে কেন্দ্র দখলের কাজে অংশগ্রহণ করেছিলো। তাদের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে জোর দাবি না করে হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে আন্তজার্তিক সহযোগিতার প্রত্যাশা করার মানে কি? অবশ্য এই সরকারের কাছে তারা বিচার পাবেনা ইতোমধ্যে টের পেয়ে গেছে। টের পাওয়ার কিছু কারণ আগের ১ম- ৫ম পর্বে সংক্ষিপ্তকারে বর্ণনা করেছি এই সরকার বিচার করার মত ক্ষমতা রাখেনা তাও বুঝে গেছে। তারাতো পোশাকে প্রশাসন কাজে কর্মে অবসান। চলছে প্রহসন। একটা কথার উত্তর দিন? বহির্বিশ্ব কি ধরণের সহযোগিতা করবে? বর্তমানে শতকরা ৮০% সরকারি উচ্চপদস্থ এবং প্রশাসনিক সিনিয়র পোস্টে রয়েছে হিন্দুরা। এখন বাহিরে সংস্থাগুলো কি এসে সেই কোটা ১০০%-এ পরিণত করুক এমনটা চাচ্ছেন? নাকি আমেরিকা বা ভারতের সৈন্য পাঠিয়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে? যেমনটা প্রিয়া সাহাকে দিয়ে করানোর চেষ্টা হয়েছিলো। নাকি বাংলাদেশের পুলিশের গুলিতে নিহত মুসলিমদের সংখ্যা দেখে সন্তুষ্ট না, বাহিরের প্রশাসন এসে এই সংখ্যা আরো দ্বিগুণ করুক এটা চাচ্ছেন? plz! Make it clear.... কোন সুস্থ মস্তিষ্কের হিন্দু হলে, পক্ষপাতুষ্ট এবং একচোখা কিংবা অতি আবেগি বা চরম উগ্রবাদী হিন্দু ছাড়া এমন প্রত্যাশা কেউ করবেনা। হীতে বিপরীতটাই ঘটতে পারে। প্রশ্নগুলো জবাবের ক্ষেত্রে ( বি পজিটিভ)। আমি বিরোধিতা করছিনা, বিশ্লেষণ করছি। ভুল হলে বুঝিয়ে বলবেন সংশোধন করে নেবো। হ্যাশট্যাগিং সিস্টেম আপনার ভিন ধর্মের বন্ধুর সাথে সম্পর্ক ধ্বংস করছে। যে আপনাকে আলগে রাখার বিষয়ে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহন করে আছে অলরেডি । এমন প্রত্যাশা আপনাদের প্রতি নিজ দেশের অন্য সম্প্রদায়ের লোকদের আগ্রহ আন্তরিকা যা ছিলো বা আছে তাও শেষ করে দিচ্ছে। এ সুবাদে জন্ম নিচ্ছে দুটো ধর্মবিশ্বাসী জঙ্গীবাদ, সেটা হোক মুসলিম নামধারী নয়তোবা হিন্দু নামের কেউ। পুরো জাতীতে দেখা যাবে অপ্রত্যাশিত Violent Disorder । (৮ম পর্ব) মানেন বা না মানেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ সনাতনী খুব বেশি বর্তমান সরকার মুখী এবং উগ্রবাদী ভারত পন্থী। বর্তমান সরকারও অনেকটা ভারত প্রিয়। এদিক বিবেচনায় তাদের সাথে অনেকটাই মিল খুঁজে পায়। বুঝেন বা না বুঝেন এদেশের রাজনৈতিক চক ভারতীয় ছাঁচে গড়া। এটা দেশের জন্য এবং আপনাদের জন্য মোটেও কল্যাণকর নয়। এই রাজনৈতিক অন্ধ ভক্তি বড় ধরণের সমস্যার সম্মুখীন করছে। মনে রাখবেন, এদেশের হিন্দুরা যতদিন পর্যন্ত ভারতের রাজনৈতিক চক্র থেকে বেরুতে না পারবে, যতদিন ক্ষমতাসীন দলের পূজা করা থেকে সরে না আসবে, ততদিন তারা নোংরা রাজনীতির বলি হতেই থাকবে। believe it or Not... অনেক হিন্দু মনে করে তারা সংখ্যালঘু বলেই নির্যাতিত। এটি নিছকই ভুল ধারণা। এদেশের মত এত সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত নিয়ে, পৃথিবীর অন্য কোন দেশ আছে কিনা আমি জানিনা। ভারত একটি মারাত্মক মুসলিম নির্যাতিত দেশ। এটি কম বেশি সবাই জানে। কেবল একচোখারা ছাড়া। ( ৯ম পর্ব) খামোখা ভয়ভীতি দূর করুন, তবে অপশক্তির অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে সচেতন থাকুন। ভুলে যাবেননা, ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুর শহরে একজন মাঝবয়সী গরিব মুসলমান রিকশাওয়ালাকে মারধর করে টানতে টানতে মিছিল করে রাস্তায় ঘোরানো এবং সেই সঙ্গে তাঁকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে বাধ্য করার কথা অনেকেই জানি। সেই সূত্র ধরে এদেশে দুটো জাতীর মাঝে কোনপ্রকার কোন্দল হয়নি। গত বছর মানে ২০২০ সালে মুসলিম নিধন-যজ্ঞ চালিয়েছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। গরিব মুসলিমদের 'নির্বিচারে হত্যা করার' এ বিষয়ে সবাই কমবেশি জানেন। প্রায় ৩০টি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা উত্তরপ্রদেশের ১৫টি শহর ও জনপদ ঘুরে এই রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে। ওই রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রথম প্রতিবাদ ও বিক্ষোভেই অন্তত ২৩ জন মারা গিয়েছিলো। উত্তপ্ত ভারত মুসলিম নির্যাতন দেখেও এদেশে কোন হিন্দুর উপর আক্রমন করেনি। গোমাংস পরিবহনের সন্দেহে যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পেটালো গোরক্ষকরা। ২০২০ সালের এই ঘটনা সারা পৃথিবীকে কাঁপিয়ে তুললেও ঐ কম্পনে লেশমাত্র ক্ষতি হয়নি বাংলাদেশের হিন্দুদের। তারপরেও একশ্রেণির তেলপ্রিয়রা বলবে এদেশ অস্প্রদায়িক। বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার বিষয়ে যেই ঘৃণিত সিদ্ধান্ত হয়েছিলো তখনও কোন হিন্দুর উপর বা মন্দিরে কোন মুসলমান আঘাত আনেনি। তারপরও আপনাদের মনে মিছে ভয়, খামোখা সংশয়। এই ভয়কে কাজে লাগিয়ে, এই সন্দেহকে সঞ্চয় করে ৩য় পক্ষ সুযোগ নিচ্ছে। এ বিষয় আপনাদের বললেও সহজে বোধদয় হবেনা জানি। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসলে সুশৃঙ্খল আন্দোলন হবেই। এই আন্দোলনও বাকস্বাধীনতার অন্তভূক্ত। এমন শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে যদি দেশীয় প্রশাসন নেতিবাচকতা দেখায়, সেক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এমন ইস্যু দাঁড় করিয়ে সেটাকে কেন্দ্র করবে প্রবন্ধ রচনা করে কলামিস্ট সাজা কোন সুশীল লোকের কাজ নয়। (১০ম পর্ব) হিন্দু মুসলিমের মাঝে ভয়াবহ যুদ্ধ বা বিভেদ ঘটাতে একটি কুচক্রী মহল কাজ করছে। একটা সময় আমাদের অতি আবেগের কারণে ঐ মহল সফল হবে। এ কলহ হয় রাজনৈতিক বা ভৌগোলিক। ধীরে ধীরে এটি ধর্মযুদ্ধে রুপান্তর ঘটছে। শেষ কথা হলো, যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে। উভয় গোষ্ঠীর অতিমাত্রায় সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। ধার্মিক তথা প্রকৃত মুসলিমরা মহান রবের নামে কসম করে বলতে পারবে, গুপ্ত হামলা, অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক উচ্ছেদ বা আগুন লাগানো এটি কোন মুসলমানের কাজ নয়, এটি সত্যিকারের কোন ইমানদারের কাজ হতে পারেনা। তাই এ বিষয়ে অন্তত নিশ্চিন্ত থাকেন। উভয় পক্ষ যদি যুদ্ধের পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যায় আত্মরক্ষার জন্য বা ইমান রক্ষার জন্য হলে প্রকৃত মুসলিমরাই জিহাদে অংশগ্রহণ করবে। সে-পর্যন্ত এগিয়ে যাক এটা কারই কাম্য নয়। চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। বাসার পাশে, মসজিদ - মন্দিরের আশপাশে, দিনে- দুপুরে,সন্ধ্যা বা রাতে ছোট- বড়, মহিলা- পুরুষ, আবাল-বৃদ্ধা, পাগল, ভিখারি, সুস্থ বা অসুস্থ সন্দেহজনক যাকেই দেখবেন নজরদারিতে রাখবেন। প্রয়োজন হলে প্রশাসন কিংবা স্থানীয় লোকজনের সাথে কমিউনিকেশন রাখবেন। পাশাপাশি বিশ্বস্ত বন্ধু বান্ধব থাকলে তাদেরও সচেতন থাকতে বলবেন,যথা সময়ে সহযোগিতা কামনা করবেন। কোনপ্রকার আপত্তিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এটার জন্য মহান রবের কাছে প্রার্থনা করবেন। জানিনা এই ষড়যন্ত্রের শেষ কোথায়, চলছে তুফানের ঘনঘটা মুহূর্তু। জানিনা কখন নেমে আসে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়। 😭😭 চলবে---------- বানান এবং অন্যান্য ভুলের জন্য 🙏🙏🙏🙏