বড় পরাজয়ে সেমির স্বপ্ন ধূসর বাংলাদেশের স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:০৬ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২১ বড় পরাজয়ে সেমির স্বপ্ন ধূসর বাংলাদেশের সুপার টুয়েলভপর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা হাতের মুঠো থেকে ছুটে গিয়েছিল ক্যাচ মিসের ভুলে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ, এমন আশায় ছিলেন সমর্থকরা। সেই আশায় গুঁড়েবালি। জয় তো দূরের কথা, এবার লড়াইটাও করতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তাদের ৪১ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে হেসেখেলেই হারিয়েছে ইংল্যান্ড। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ধূসর হয়ে গেলো টাইগারদের। বিজ্ঞাপন ১২৫ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মারমুখী শুরু করেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জস বাটলার আর জেসন রয়। ২৮ বলেই তারা তুলে ফেলেন ৩৯ রান। ঝড়ো এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান বাঁহাতি এই স্পিনার। বিজ্ঞাপন নাসুমকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅফে নাইম শেখের ক্যাচ হন জস বাটলার (১৮ বলে ১৮)। ওই পর্যন্তই। পরের জুটিই ম্যাচ বের করে নিয়ে আসে বাংলাদেশের হাত থেকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৮ বলে ৭৩ রান যোগ করেন জেসন রয় আর ডেভিড মালান। ৩৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন রয়। শেষ পর্যন্ত ১৩তম ওভারে এসে আউট হন ইংলিশ ওপেনার। ৩৮ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৬১ রান করে থার্ডম্যানে নাসুমের ক্যাচ হন রয়। বিজ্ঞাপন jagonews24 তবে তখন ৪৩ বলে মাত্র ১৩ রান দরকার ইংল্যান্ডের। সেই পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দিয়েছেন ডেভিড মালান আর জনি বেয়ারস্টো। মালান ২৫ বলে ২৮ আর বেয়ারস্টো ৪ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে ৯ উইকেটে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ। সুপার টুয়েলভের এই লড়াইয়ে টসভাগ্য সহায় ছিল টাইগারদের। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আবুধাবিতে বেশ ইতিবাচকই দেখা যাচ্ছিল দুই ওপেনার নাইম শেখ আর লিটন দাসকে। লিটন তো প্রথম ওভারেরই শেষ দুই বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু সেই শুরুটা বেশিদূর এগোতে পারেনি। মঈন আলির করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ হন লিটন (৮ বলে ৯)। পরের বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে তুলে দেন নাইমও (৭ বলে ৫)। ১৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ আরও বাড়িয়েছেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান (৭ বলে ৪) অদূরদর্শী শট খেলে। ক্রিস ওকসের বলে শর্ট ফাইন লেগে তুলে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, দারুণ এক ক্যাচ নেন আদিল রশিদ। ২৬ রানে ৩ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সেখান থেকে দলকে অনেকটা সময় ভরসা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ যুগলের ব্যাটে চড়ে যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল টাইগাররা, তখনই ভুল করে বসেন মুশফিক। পছন্দের শট রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে একবার ক্যাচ হওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই রিভার্স সুইপের লোভ সামলাতে পারেননি তারপরও। লিয়াম লিভিংস্টোনের ঘূর্ণি মিস করে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন মুশফিক (৩০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৯)। তাতেই ভাঙে ৩২ বলে ৩৭ রানের আশা জাগানিয়া জুটিটি। এরপর আফিফ হোসেন (৬ বলে ৫) রানআউটের কবলে পড়েন। মাহমুদউল্লাহ (২৪ বলে ১৯), শেখ মেহেদি হাসান (১০ বলে ১১) সেই ব্যর্থদের কাতারেই নাম লেখান। শেষদিকে নাসুম আহমেদের ৯ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় গড়া ১৯ রানের ইনিংস আর নুরুল হাসান সোহানের ১৮ বলে ১৬ রানে ভর করে ১২৪ রানে থামে বাংলাদেশ। এমএমআর/জিকেএস টি-টোয়েন্টি-বিশ্বকাপ বাংলাদেশ-ক্রিকেট ইংল্যান্ড-ক্রিকেট বিজ্ঞাপন পরবর্তী খবর শেরে বাংলার স্লো পিচে খেলে কী লাভ হলো তাহলে? আরিফুর রহমান বাবু | প্রকাশিত: ০৬:৩৯ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২১ শেরে বাংলার স্লো পিচে খেলে কী লাভ হলো তাহলে? বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সিনিয়র প্লেয়ারদের সবাই, হেড কোচ ডোমিঙ্গো, এমনকি নির্বাচকরাও বড় গলায় বলেছিলেন, ‘দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় আমাদের সাহস, আস্থা আর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। আসলে কি তাই? সত্যিই রিয়াদের দল স্লো উইকেটে খেলে লাভ হয়েছে রিয়াদের দলের? ‘আচ্ছা ভাই, বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে শেরে বাংলার স্লো পিচে খেলে কী লাভ হলো বলতে পারেন?’ এক পাঠকের প্রশ্ন। বিজ্ঞাপন শুধু ওই পাঠকই নন, যদি তেমনটাই হবে, তাহলে আজ বুধবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের স্লো পিচে ব্যাটিংয়ের এমন হতচ্ছিরি অবস্থা কেন বাংলাদেশ দলের? এ প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে? অধিনায়ক রিয়াদ? হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো না টিম ম্যানেজমেন্ট? এদিকে দেশে অনেক আশা নিয়ে টিভির সামনে বসে থাকা কোটি ভক্ত ও সমর্থক আবারো চরম হতাশ। বিজ্ঞাপন সবার একটাই কথা, ইংল্যান্ডের নির্জিব ও মাঝারি মানের বোলিংয়ের বিপক্ষে এমন খাপছাড়া শ্রীহীন ব্যাটিং কেন? এটা ১৭০-এর উইকেট নয়। এখানে ১৪৫-১৫০ রান হতে পারে ফাইটিং স্কোর; কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে মনে হলো না তাদের মাঝে এ বোধ, উপলব্ধি ছিল। থাকলে আরও একটু রয়ে-সয়ে খেলতেন সবাই। তাতে নিশ্চিতভাবেই ১৪০ থেকে দেড়শো রান করা সম্ভব ছিল। Mushfiq বিজ্ঞাপন

Comments

Popular posts from this blog

খবর ১৬/১০/২০২১

নিউজ

১৬ লাখ ই-মেইল বন্ধ করলো গুগল বিশ্বের সর্ববৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন গুগল সম্প্রতি ১৬ লাখ ইমেইল বন্ধ করেছে। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহৃত ই-মেইলগুলোই বন্ধ করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। গত ৬ মাসে এসব ফিশিং বা প্রতারণামূলক ই-মেইল বন্ধ করা হয়েছে। মূলত সাইবার অপরাধীরা তাদের ম্যালওয়ার ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে এই ই-মেইলগুলো ব্যবহার করতো। এসব ফিশিং ই-মেইলের উদ্দেশ্য ছিল ইউটিউব অ্যাকাউন্ট চুরি করা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বাড়ানো। সাইবারক্রাইম ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ, ইউটিউব ও জি-মেইলসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ৯৯ দশমিক ৬ শতাংশ ফিশিং ই-মেইল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগলের থ্রেট অ্যানালাইসিস গ্রুপ। বিজ্ঞাপন এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ইতোমধ্যে ১৬ লাখ ফিশিং ই-মেইল বন্ধসহ ৬২ হাজার সেফ ব্রাউজিং ফিশিং পেজের জন্য সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ২ হাজার ৪০০ ফাইল ব্লক এবং ৪ হাজার অ্যাকাউন্ট সফলভাবে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে তারা। গুগল আরও বলেছে, সাইবার অপরাধী বা হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের কাছে ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস, ভিপিএন, মিউজিক প্লেয়ার ও ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এবং অনলাইন গেমসের মতো বিভিন্ন প্রলোভনমূলক ই-মেইল পাঠায়। এসব ই-মেইলে ক্লিক করার ফলে তাদের ইউটিউব চ্যানেলের দখল নেয় হ্যাকাররা। পরে সেগুলো তারা বিক্রি করে দেয় অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সিকেন্দ্রিক প্রতারণার জন্য ব্যবহার করে। বিজ্ঞাপন তাই অ্যাকাউন্ট সুরক্ষায় অপরিচিত কোনো ই-মেইলে ক্লিক না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে গুগল। অপরিচিত কোনো ই-মেইলে ক্লিক না করার পাশাপাশি ‘মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ ফিচারটি চালু করলে অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। গুগল আরও বলে, ২০১৯ সাল থেকে তাদের টিম আর্থিক উদ্দেশ্যমূলক ফিশিং ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে কাজ করছে। হ্যাকাররা কুকি থেফট ম্যালওয়ারের মাধ্যমে ইউটিউব ব্যবহারকারীদের টার্গেট করতো। বিজ্ঞাপন সূত্র: গ্যাজেটস নাও কেএসকে/এএসএম